বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া, স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দেওয়া জাতি আমরা। এই দেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা, বৈচিত্রময় সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ইত্যাদি। কিন্তু তারপরও রয়ে গেছে দারিদ্র, নানান রকমের দূষণ, দুর্নীতি ও বৈষ্যমের মতো অনেক চ্যালেঞ্জ। তাই এখন প্রশ্ন আসতেই পারে আগামীর বাংলাদেশকে আমি কেমন ভাবে দেখতে চাই? এসব নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে দেশটি নিয়ে।
দারিদ্রমুক্ত ও ন্যায়ের বাংলাদেশ: আমি চাই আগামীর বাংলাদেশ হবে একটি সুশাসিত দেশ, যেখানে দুর্নীতির কোনো স্হান হবে না, সরকারি - বেসরকারি সবখানে থাকবে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা। মানুষ ন্যায্য অধিকার পাবে, বিচার পাবে দ্রুত এবং কেউ আইন ভঙ্গ করতে পারবে না।
শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ: শিক্ষা হতে হবে সহজলভ্য এবং দক্ষতা নির্ভর। শিশুকে শুধু বই মুখস্থ করানো নয়, তাদের ভাবতে, প্রশ্ন করতে শেখাতে হবে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের জন্য উন্নয়ন করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে।
দারিদ্রমুক্ত এবং কর্মসংস্হানমুখী অর্থনীতি: আমি এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে কেউ অভুক্ত থাকবে না। প্রতিটি নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। কৃষি, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে উঠবে এক নতুন বাংলাদেশ। নারী ও যুব সমাজ হবে উন্নয়নের মূল চালিকা।
সবুজ, নির্মল ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ: আগামীর বাংলাদেশ হতে হবে পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন, সবুজে ঘেরা এবং পরিবেশের প্রতি যত্নশীল। প্লাষ্টিক দূষণ কমানো সহ বনভূমি এবং গাছপালা রক্ষা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় থাকতে হবে একটি পরিকল্পিত ব্যবস্থা।
সাম্য ও মানবিক সমাজ: এই বাংলাদেশে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সর্বক্ষেত্রে মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে পারে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরাও সমাজের একটি অংশ এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহার: আগামীর বাংলাদেশকে আমি কল্পনা করি একটি উন্নত মানবিক এবং নিরাপদ দেশ হিসেবে। এটি হবে এমন একটি দেশ যেখানে স্বপ্ন দেখার অধিকার থাকবে সবার এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগও থাকবে। এ স্বপ্ন শুধু আমার নয়, বরং সব বাংলাদেশিরই এবং এই স্বপ্ন সত্যি করার জন্য সবাইকেই দায়িত্ব নিতে হবে।